Wednesday, September 14, 2016

ক্যারিয়ার গড়ার জন্য জানা জরুরী

ক্যারিয়ার গড়ার জন্য জানা জরুরী 



১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

লক্ষ্যহীন নৌকা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর কথা ভাবতেও পারে না। তাই সবার আগে প্রয়োজন আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা। আপনি যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আগ্রহী হন তাহলে সে বিষয়টিতে অবশ্যই মনোযোগী হবেন। কিন্তু তার আগে প্রয়োজন সে বিষয়টি নির্ধারণ করে নেওয়া। অন্যথায় আপনার সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই বহু সময় পার হয়ে যাবে।

২. সময় দিন

ক্যারিয়ারের কোনো একটি নির্দিষ্ট দিকে আপনি যেতে চান কিংবা পছন্দের কোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে চান উভয় ক্ষেত্রেই আপনার রাতারাতি কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সবার আগে কিছু সময় নিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে সে বিষয়ে অগ্রসর হতে হবে। এক্ষেত্রে সময় ব্যয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

৩. আগ্রহের বিষয়ে কাজ

আপনার কোন বিষয়ে আগ্রহ আর সে বিষয়ে কিভাবে লাভবান হওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। অনুসন্ধানের মাধ্যমে আপনার আগ্রহের বিষয় থেকেই বহু আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার বিষয় পাওয়া যাবে।

৪. বাস্তববাদী হোন

বাস্তববাদী না হলে কোনো বিষয়েই সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। তাই ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও বাস্তববাদী হওয়া প্রয়োজন। যেমন আপনার এমন কোনো কাজে আগ্রহ, যে কাজের বর্তমানে কোনো মূল্যই নেই। এমন আগ্রহ আদতে কাজে লাগানো অবাস্তব হয়ে পড়তে পারে।

৫. প্রিয় মানুষদের কাছাকাছি থাকুন

জীবনে চলার পথে বহু মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সবার কাছাকাছি যে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার সফলতার জন্য সহায়তা করে এমন মানুষদের সঙ্গে থাকুন। এতে নানা বিষয়ে স্বস্তি হবে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

৬. গুরু খুঁজে নিন

বর্তমান সমাজে নিজের ভালোবাসার বিষয় নিয়ে সফল হওয়ার কলাকৌশল নিজে নিজে রপ্ত করা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে একজন সফল ব্যক্তির আন্তরিক পরামর্শ প্রয়োজন। আর এ কাজে উপযুক্ত ব্যক্তি খুঁজে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৭. পরিবেশ বিবেচনা করুন

অনেক বিষয় আছে যা আপনার কাছে অস্বাচ্ছন্দ্যকর। এসব বিষয় আপনি এড়িয়ে চলতেই আগ্রহী। কিন্তু সব সময় এমন কাজ করলে তা আপনার পরীধি সীমিত করে দেবে। এ কারণে অস্বাচ্ছন্দ্যময় এসব বিষয়ও করতে শুরু করুন। এক্ষেত্রে পরিবেশ নিয়ে কোনো চিন্তা থাকলে তা আগেই ভেবে নিন। কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায় সে উপায় অনুসন্ধান করুন।

৮. অপেক্ষা নয়

কোনো কাজের জন্য অপেক্ষা করতে করতে অনেকে জীবনটাই পার করে দেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি সত্যিই কোনো কাজে আগ্রহী হন তাহলে সে কাজটি দ্রুত শুরু করে দিন। অন্যথায় তা আর করা নাও হতে পারে।

৯. সহজভাবে নিন

অনেক কাজ আছে যা আপনার পক্ষে করা সম্ভব না বলেই মনে হতে পারে। এক্ষেত্রে নিজের প্রতি একটি উচ্চ ধারণা অনেকেরই কাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে কাজের বিঘ্ন এড়াতে নাক উঁচু ভাব বদলানোর বিকল্প নেই। সবকিছু সহজভাবে নিন, কাজও সহজ হয়ে যাবে।

১০. সিদ্ধান্ত সফল করার উদ্যোগ নিন

কোনো বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো মূল্য থাকে না যদি না আপনি সে সিদ্ধান্তটি সফল করার জন্য উদ্যোগ নেন। এক্ষেত্রে তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা সফল করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

১১. একাই সব কাজ নয়

কোনো একটি কাজ একাই নিখুঁতভাবে করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের আওতায় কাজটি ভালোভাবে করতে হলে উপযুক্ত মানুষ ও প্রচেষ্টা প্রয়োজন হয়। আপনার কোনো শখের বিষয়েও একই কথা প্রযোজ্য।

১২. শিক্ষা নিন

শিক্ষার মূল্য কখনোই শেষ হয় না। যে কোনো বিষয়ে কাজে নামার আগে সে বিষয়টিতে কিছু শিক্ষা নিয়ে নিন। এতে কাজটি সফল করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
১৩. আগ্রহী হোন
আগ্রহ ছাড়া কোনো কাজ করলে তাতে সফলতার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কাজটি নিখুঁতভাবে শেষ করার জন্যও আগ্রহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
riazedusyl.blogspot.com

১৪. ইতিবাচক মনোভাব

আমরা সবাই জানি নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক কর্মকান্ড ও মনোভাব সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়তেও ইতিবাচক মনোভাবের বিকল্প নেই। সত্যিকার অর্থে প্রত্যেকটি কাজেই ইতিবাচক মনোভাবের প্রাধান্য বেশি। আমি অথবা আপনি এটা ভাল করেই জানি ‘উপদেশ দেয়া সহজ তবে পালন করাটাই কঠিন’। সেই সাথে আমরা এটাও জানি ইতিবাচক অবস্থান একজন মানুষকে কোলাহল, উত্তেজনা উগ্রতা, দুঃশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে। আপনি যখন মনের দিক থেকে সত্ থাকবেন, তখন আপনাআপনি মন প্রফুল্ল থাকবে। নিজের সাথে বোঝাপড়াটাও ভাল হবে। মনকে প্রফুল্ল রাখতে পারলে স্বপ্নের চাকরিটাই না শুধু যেকোন কাজেই সফলতা পেতে পারি আমরা।

১৫. নিজেকে জানুন

হরহামেশাই দেখা যায় ভাল বেতনের চাকরিকে সবাই প্রাধান্য দেয়। আবার বেশি বেতনের চাকরি করলে সমাজেও কদরটা একটু বেশি। তাই সকলেই ঝুঁকে পড়ে বেশি বেতনের চাকরির দিকে। তবে ব্যাপারটা এমন না হয়ে যদি নিজের আকাঙ্ক্ষা ও ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া হত, তাহলে ব্যাপারটা ঈর্ষণীয় হত। তাই আগে জানতে হবে, কোন পেশার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন। আসল কথা হচ্ছে অন্যের পেশাকে দেখে লাভ নেই। নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে কোন পেশাকে বেছে নেওয়া যায়। মনের তৃপ্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সেজন্য দরকার নিজেকে জানা। নিজের উপর যতটা নির্ভরশীল হওয়া যাবে, সাফল্যের পথে সে সবচেয়ে এগিয়ে।

১৬. চাহিদা ও দক্ষতা নির্ধারণ

প্রত্যেকেরই উচিত অবসর সময়টাতে নিজেতে তৈরি করা। এইচএসসি পাস একজন নিশ্চয়ই ব্যাংকের চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরি পাবে না। তাই নিজের দক্ষতার উপর নির্ভর করেই চাহিদার চাকরিগুলোকে বেছে নিতে হবে। তারপর সর্বোচ্চ কাঙ্ক্ষিত চাকরিটা পেতে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে। আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি টানে। ধরুন, আপনি কম্পিউটারে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। কম্পিউটারের সামনে বসলে আর উঠতেই ইচ্ছে করে না। আর কম্পিউটারও ভাল জানা আপনার। কম্পিউটার দক্ষতা ও আগ্রহ এই দুই মিলালে বলাই যায়—আপনার উচিত তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়া। সে চেষ্টাটাই করতে হবে আপনাকে।
riazedusyl.blogspot.com

No comments:

Post a Comment